আপনার জিজ্ঞাসা
রমজান মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৮২২তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে একজন জানতে চেয়েছেন, রমজান মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : রমজান মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে?
উত্তর : ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। অনেক সাহাবি রমজান মাস আসার আগেই আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন, যেন তাঁরা সুস্থ থেকে রোজা রাখতে পারেন। এর মানে হলো, রোজার আগেই প্রস্তুত থাকতেন। এ মাস এত গুরুত্বপূর্ণ যে, কীভাবে চলে যাবে, টের পাওয়া যায় না। রমজানে খাদ্য ব্যবস্থাপনার কথা এলে বলব—এ মাসটায় খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে সংক্ষিপ্ত করার জন্য বলা হয়। কিন্তু, আমরা তার বিপরীতটা করি। এখন মনে হয়, রমজানটা খাদ্যের মাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহর সঙ্গে যার কোনো মিল নেই। রমজান মাসে ইফতার ও সেহরি যথাসম্ভব কম খাবারে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। খাদ্যগুণ থাকুক, কিন্তু তার সীমাবদ্ধতা থাকবে। এ মাসে খাদ্যের পেছনে বেশি সময় নষ্ট করবেন না। সারা দিন সিয়ামের পর এমন খাবার না খাওয়া, যা শরীরে ক্ষতি করে। এসবে নজর দিতে হবে। রমজান মাসে ইবাদতের জন্য আপনার ফিট থাকতে হবে। তাই ভাজাপোড়া নয়, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খাবেন। রাসুল (সা.) এ মাসে হালকা খাবার খেতেন। যেমন, তিনি ইফতারে-সেহরিতে পাকা বা কাঁচা খেজুর খেতেন। রমজান কোরআনের মাস। এ মাসে কোরআন নাজিল হয়। তাই এ মাস বেশি বেশি কোরআন পড়ার মাস। অন্তর দিয়ে বোঝার মাস। সুতরাং এ মাসে খাবারের পেছনে এত সময় নষ্ট করা উচিত নয়।