প্রয়োজনীয় টিকেট পাননি মাশরাফিরাও!
এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকেটের কতটা আকাল, সেটা বোঝা যাবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেই। তীর্থের কাকের মতো হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন, যদি একটা টিকেট পাওয়া যায়। যাঁদের খেলা দর্শকরা দেখবেন সেই খেলোয়াড়রাও নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী টিকেট পাননি। খোদ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও পেয়েছেন মাত্র পাঁচটি টিকেট।
দলীয় এক সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী টিকেট পাননি। কারণ তাঁদের কাছে পরিবার-পরিজনের চাহিদা থাকে একটু বেশিই। অথচ বিসিবি তাঁদেরই চাহিদা অনুযায়ী টিকেট দিতে পারেনি।
এদিকে ফাইনালের টিকেটের জন্য লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছে মিরপুরে। টিকেটের জন্য পুলিশ ও দর্শকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। একটা টিকেটের জন্য রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন দর্শকরা। মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনে ইউসিবিএলের শাখায় সকাল ১০টায় টিকেট বিক্রি শুরু হয়।
টিকেট ক্রেতাদের লাইন ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়ক দখল করে নেয়। হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষা করলে সেই এলাকায় প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ রাস্তা থেকে ক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তখনই পুলিশ ও দর্শকদের উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
শনিবার এর অল্প কিছুক্ষণ পরই ক্রেতা ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার কারণে টিকেট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এই ম্যাচের টিকেট পেতে শুক্রবার থেকেই কেউ কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই টিকেটের জন্য রাতভর লাইনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফির দশা দেখে সাধারণ দর্শকদের আক্ষেপ কিছুটা কমতে পারে! কারণ তিনি নিজেই জানালেন, ২৫ টিকেট চেয়েও শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫টি টিকেট পেয়েছেন।
টিকেট নিয়ে দর্শকদের এমন কষ্ট দেখে মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘সকালেই দেখেছি, অনেক মানুষ টিকেটের জন্য লাইন দিয়ে আছে। একটি টিকেটের জন্য অনেক কষ্ট করেছে, অনেকেই নাকি বেশ সমস্যায়ও পড়েছেন। আমরা ভালো খেললে প্রায়ই এটা হয়ে আসছে। এখন আরো বেশি হচ্ছে।’
একইভাবে নুরুল হাসান সোহান ১০টি টিকেট চেয়ে চারটি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের মতো একই অবস্থা বাকি ক্রিকেটারদেরও। তারা সবাই প্রত্যাশিত টিকিটের চেয়ে পেয়েছেন অর্ধেকেরও কম!
রোববার বাংলাদেশ ও ভারতের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলছে। এর আগে ২০১২ সালে একবার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেবার পাকিস্তানের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়ে যায়।