সাকিবদের হারিয়ে বিপিএল শুরু তামিমের বরিশালের
লক্ষ্যটা বড় নয়। জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের সামনে লক্ষ্য মাত্র ১৩৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা মামুলিই বটে। এই রান তাড়ায় দারুণ শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরান। মাঝে রংপুর রাইডার্সের বোলিংয়ে কিছুটা পরীক্ষায় পড়লেও জিততে সমস্যা হয়নি বরিশালের। সাকিব আল হাসানের রংপুরকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।
বিপিএলে আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) রংপুর বনাম বরিশালের লড়াই ছাপিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল সাকিব বনাম তামিমের মুখোমুখি দ্বৈরথ। কারণ, বিশ্বকাপের আগ থেকে দুজনের মধ্যে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল তারপর আজই তাদের প্রথম দেখা।
প্রথম দেখায় জয়ের হাসিটা হাসলেন তামিমই। নিজ দলকে জেতালেন, তাও আবার সাকিব আল হাসানদের মতো শক্তি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচে। দলটির বিপক্ষে ছোট লক্ষ্য তাড়ার প্রথম সুরটা বেধে দেন তামিমই। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা তামিম ওপেনিংয়ে উপহার দেন ৩৫ রানের চমৎকার ইনিংস। যা সাজানো ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়।
তামিমের সঙ্গে থাকা ইব্রাহিম জাদরান অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ রানের মাথায় তাকে থামান সাকিব। মাঝে থিতু হওয়ার আভাস দিয়ে ২০ রানে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবুও জয় পেতে সমস্যা হয়নি বরিশালের। মুশফিকের ২৬ রানের ইনিংস আর মাহমুদউল্লাহর শেষ দিকে ১৯ রানে চড়ে সহজেই জয়ের দেখা পেয়ে যায় বরিশাল। তাদের সঙ্গী হওয়া শোয়েব মালিক খেলেন ১৭ রানের ইনিংস।
রংপুরের হয়ে ১৬ রান খরচায় দুই উইকেট নেন সাকিব। ১৭ রান দিয়ে সমান দুটি নেন হাসান মুরাদ। একটি নেন মোহাম্মদ নবী।
এর আগে রপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৪ রান তোলে রংপুর। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ধাক্কা খায় রংপুর। মোহাম্মদ ইমরানের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগে ফের ধাক্কা খায় রংপুর। এবার সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। দলীয় ১৪ রানের মাথায় খালেদের বলে ব্যক্তিগত পাঁচ রান করে ফেরেন রনি।
দুই বল পরই খালেদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সাকিব। তিন বলে দুই রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। সাকিবের বিদায়ের পর আজমতউল্লাহ ওমরযাই ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে, তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ৯ বলে ছয় রান করে ফেরেন ওমরযাই।
পরবর্তীতে শামিম হোসেন পাটোয়ারিকে নিয়ে জুটি গড়েন সোহান। এই জুটিতে যোগ হয় ৩৪ রান। দলীয় ৬৫ রানে সোহানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ২৩ বলে ২৩ রান করে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর দলীয় ৯৭ রানে শামীমের বিদায়ের পর বেশিদূর যেতে পারেনি রংপুর। শেষমেশ ১৩৪ রানে থামে দলটি।