বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে বাদ পড়ার শঙ্কা জেগেছে পাকিস্তানকে নিয়ে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের খুব একটা বিকল্প নেই বাবরদের সামনে। পাশাপাশি মেলাতে হবে জটিল সমীকরণ।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে পাকিস্তান। কারণ জিম্বাবুয়ের কাছে হারলেও শেষমেশ ফাইনাল খেলেছিল বাবরের দল। এবার অবশ্য আসরের শুরুটাই হয়েছে হার দিয়ে। তবে পাকিস্তান যে বড্ড আনপ্রেডিক্টেবল। তাই যেকোনো কিছুই হতে পারে।

চিন্তার বিষয় হলো ভারত ম্যাচসহ গ্রুপের বাকি সব খেলা জিতলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে পারে পাকিস্তান। সমীকরণ অনুযায়ী এই গ্রুপে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। তাদের নেট রান রেট ০.৬২৬। দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছে দেশটি।

অন্যদিকে, ২ পয়েন্ট নিয়ে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। একটি ম্যাচ খেলে রোহিতদের নেট রান রেট ৩.০৬৫। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কানাডা। ২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২। নেট রান রেট -০.২৭৪। গ্রুপে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। বাবরদের পয়েন্ট এবং নেট রান রেট শূন্য। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছে আয়ারল্যান্ড। দু’টি ম্যাচ খেলে দু’টিতেই হেরেছে আইরিশরা। তাদের নেট রান রেট -১.৭১২।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপের প্রথম দু’টি দল যাবে সুপার এইটে। পাকিস্তান যদি বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে পারে আর ভারত পাকিস্তান বাদে সব ম্যাচ জিতে, এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, তাহলে ভারত, পাকিস্তান এবং আমেরিকা ৬ পয়েন্টে শেষ করবে।

আর তখনই আসবে সমীকরণের কঠিন মারপ্যাচ। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে নেট রান রেট। বাবরেরা প্রথম দু’দলের মধ্যে না থাকলে ছিটকে যাবেন প্রতিযোগিতা থেকে। ভারতের কাছে হারলে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে বাবরদের ৪ পয়েন্টের বেশি পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

অন্য দিকে ভারত এবং আমেরিকা বাকি দু’টি ম্যাচের একটি করে জিতলেও তাদের হবে ৬ পয়েন্ট করে। স্বভাবতই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ আটে যাওয়ার কোনও সুযোগ থাকবে না বাবরদের। আবার ভারতের কাছে হারলেও সুযোগ থাকবে পাকিস্তানের সামনে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বাকি দুই ম্যাচই হারতে হবে। এবং নেট রান রেটে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যেতে হবে পাকিস্তানের। যেটা আপাতদৃষ্টিতে প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছে।