ক্ষুব্ধ দর্শকরা, পুড়ল বিপিএলের টিকিট কাউন্টার
নতুন আঙ্গিকে মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। মাঠের খেলায় রানবন্যা দেখা গেলেও মাঠের বাইরে টিকিট নিয়ে দর্শকদের হতাশা যেন কাটছেই না। উদ্বোধনী ম্যাচের মতো আজও মিরপুরে টিকিট সংকটে ক্ষুব্ধ দর্শকরা। টিকিট কাণ্ডে অগ্নিগর্ভ মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আগুন দেওয়া হয়েছে বিপিএলের টিকিট কাউন্টারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সকাল থেকে টিকিটের জন্য আগে থেকে নির্ধারিত মিরপুরের সুইমিং কমপ্লেক্সে অপেক্ষা করছিলেন দর্শকরা। অনলাইনের পাশাপাশি সেখানেই বুথে টিকিটের ব্যবস্থা করেছিল বিসিবি। তবে সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাঁশের বেড়ায় ধাক্কা দিতে থাকেন দর্শকরা। পরে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে টিকিট বুথে ভাঙচুর চালান দর্শকরা। এক পর্যায়ে সেখানে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে ফায়ার সার্ভিস। এরপর জায়গাটির নিয়ন্ত্রণে নেয় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। টিকিট কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংক ও বুথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও টিকিট পাচ্ছেন দর্শকরা। অনলাইনে টিকিট কেনা নিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দর্শকদের। তবে কয়েকটা ম্যাচ গেলেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
এই বিষয়ে বিসিবিপ্রধান বলেন, ‘নতুন একটা জিনিস যখন হবে দুনিয়ার যেকোন জায়গায় (ঝামেলা হবে শুরুতে), আমি জানি না আপনারা বিশ্বকাপের টিকিট (অনলাইনে) কেটেছেন কি না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরতে থাকে, পারা যায় না। সুতরাং আমাদের সমালোচনা করলে হবে না। আমরা খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা করছি। নতুন একটা জিনিস, ভালো জিনিস। প্রথম দিনে অনেক বেশি চাপ ও জাতীয় সার্ভারের এনআইডির একটা সমস্যা ছিল বা সবাই একসঙ্গে কাটতে গেছে বুথে। এ ছাড়া বুথে টিকিট পৌঁছেছে দেরিতে।’
জায়ান্ট স্ক্রিনে দর্শক উপস্থিতি ও টিকিট বিক্রির তথ্য দেখানোর নতুন পরিকল্পনাও করছেন বিসিবি প্রধান। বলেছেন, ‘আমি পরিকল্পনা করেছি, তবে এ বছর এটা হবে না… প্রত্যেকদিন অ্যাটেন্ডেন্স, টিকিট সেল জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখাবো। এটা পরিকল্পনা করছি কিন্তু এটা করতে পারব কি না, সুবিধা-অসুবিধাগুলা দেখব। এগুলো মাথায় রাখতে হবে আর ভালো কাজ করলে বাহবা দিতে হবে, খারাপ কাজ করলে বলতে হবে এগুলোতে আরও একটু ভালো করা যায়।’