আফগানিস্তান অঞ্চলে বিআরআই প্রকল্পের কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিকল্পনা চীনের
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার পর ওই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে চীন। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আরও ঘনিষ্ঠ ‘সংলাপ প্রক্রিয়া’র উদ্যোগ নিয়েছে চীন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স শেষে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে। তবে, এর পাশাপাশি এটি আফগানিস্তানের জনগণকে ‘নিজেদের ভাগ্যের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের’ সুযোগ এনে দেবে। দেশটির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য বিষয়টি খুবই ভালো।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আরও বলেন, ‘বিআরআই প্রকল্পে সহযোগিতা আরও গাঢ় করার বিষয়ে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ। আফগানিস্তানে প্রকল্পটির সম্প্রসারণ এবং তিন দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও সমর্থন দিয়েছে তারা।’
এ ছাড়া তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংলাপ প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে তিনপক্ষই সম্মত হয়েছে। চীন তাদের রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে আফগানিস্তানে শান্তি সংলাপের বিষয়ে আলোচনা এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন সেনা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং আশঙ্কা করছে, এই সেনা প্রত্যাহারের পর আফঘানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান হতে পারে, যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে। আফগানিস্তান থেকে যেকোনো অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করতে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। গত মাসে কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান,তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, ‘আমরা চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) সহযোগিতা কার্যক্রম আফগানিস্তানে সম্প্রসারিত করতে পারি। পাশাপাশি আফগানিস্তান এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা এবং আন্তঃযোগাযোগে উন্নয়ন ঘটানো হবে।’