ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত ফিলিস্তিনের ১২ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মারা যাওয়া কিশোরের নাম মোহাম্মদ আল-আলামি। ফিলিস্তিনের বেইত ওমর শহরে তার মৃত্যু হয়।
গতকাল বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত হয় আল-আলামি। একটি গাড়িতে করে বাবার সঙ্গে যাওয়ার সময় তার বুকে গুলি লাগে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ঘটনার সময় তাদের একজন সেনা সদস্য ‘সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডে’ জড়িত ওই গাড়ির চাকা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে ইসরায়েলের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে থাকা সেনারা দেখতে পায় একটি গাড়ি ওই এলাকায় প্রবেশ করে এবং দুইজন গাড়ি থেকে বের হয়ে মাটি খুঁড়ে এরপর আবার গাড়িতে ফিরে যায়। সেনারা ওই স্থানে গিয়ে দুটি ব্যাগ পায়, যার একটিতে এক নবজাতকের মৃতদেহ ছিল।
বেইত ওমরের মেয়র নাসরি সাবারনেহ ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফাকে জানান, বুধবার সকালের দিকে গ্রামের একটি পরিবার মৃত নবজাতককে ওই এলাকায় দাফন করেছিল। দাফনের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ইসরায়েলি সেনারা সেখানে পৌঁছায় এবং নবজাতকের মৃতদেহ তুলে ফেলে।
তবে ইসরায়েলের দাবি, তাদের সেনারা ধারণা করেছিল সকালে যে গাড়িটি দাফনের সময় দেখা গিয়েছিল, বিকালে গুলি করা গাড়িই সেটি। সেনারা প্রথমে নিয়ম অনুসরণ করে চিৎকার করে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে, পরে গাড়ির চাকা লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এ নিয়ে গত কয়েক দিনের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনের দুই কিশোরের মৃত্যু হলো।
আল-আলামিকে গুলির ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। বিবৃতিতে বলা হয়, গোলাগুলিতে এক ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগটি তারা খতিয়ে দেখছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।
এর আগে গত শনিবার মোহাম্মদ মুনির আল-তামিমি নামের ১৭ বছরের এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার একদিন আগেই সে বেইত গ্রামে গুলিতে আহত হয়।
ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার বেইত গ্রামে শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।