ফিলিস্তিনি ৩ যুবককে গুলি করে হত্যা
অধিকৃত পশ্চিম তীরে তিন ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, সৈন্যদের গুলি করার পরই ওই তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করা হয়। পশ্চিম তীরে বছরব্যাপী চলা সহিংসতার সর্বশেষ রক্তক্ষরণ এটি। আজ রোববার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার নাবলুস শহরের কাছে ওই তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারা সবাই স্বাধীনতাকামী। নিহতরা হলেন—২৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল-সামি, ২২ বছর বয়সী উদে ওথমান আল-সামি ও ১৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ রেইদ দাবেক।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, ‘পশ্চিম নাবলুসের জিট জংশনের পাশের আর্মি ক্যাম্পে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। প্রতিরক্ষায় আমাদের সৈন্যরাও গুলি ছোঁড়ে। গুলি বিনিময়ের সময় তিন সশস্ত্র বন্দুকধারী গুলিতে মারা যায় ও একজন আত্মসমর্পণ করে।’ এ ঘটনায় ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো সদস্য নিহত বা আহত হয়নি বলেও জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি বাহিনী আরও বলছে, অভিজাত পদাতিক গোলানি রিকনেসান্স ইউনিটের সেনা সদস্যরা তিনটি এম-১৬ রাইফেল এবং ফিলিস্তিনিদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল জব্দ করেছে।
নিহত ফিলিস্তিনিরা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ পার্টির সশস্ত্র শাখা আল-আকসা শহীদ ব্রিগেডের সদস্যা বলে দাবি করা হচ্ছে।
আল-জাজিরা বলছে, নতুন করে বসতি স্থাপন নিয়ে পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বেড়েছে। গত এক বছরে ইসরায়েলি সেনারা অঞ্চলটি থেকে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে গুলি করে হত্যা করেছে ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে। সংঘর্ষে ৪০ ইসরায়েলি মারা গেছে।
গত শুক্রবার এক ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারীর গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর একদিন আগে তেল আবিবে হামাসের এক সদস্যের গুলিতে তিন ইসরায়েলি আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগে একই বন্দুকধারীর হামলায় ইসরায়েলের এক পুলিশ সদস্য ও এক পথচারী নিহত হন।