এনজিও নয়, সরকারকে চায় ছিটমহলবাসী
ছিটমহলের উন্নয়নের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। এসব এলাকার উন্নয়নকাজে সরকার স্থানীয় মানুষদের কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু কোনোমতেই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) হাতে ছিটমহলগুলো দেওয়া যাবে না।
urgentPhoto
এ রকম দাবিসহ চার দফা দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। আজ সোমবার দুপুরে রাজ্যের কোচবিহার জেলাশাসক পি উল্লানাথনের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এর আগে কোচবিহারে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। কোচবিহার স্টেশন মোড় থেকে বের হওয়া মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কোচবিহারের জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহলের বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশ নেন। সেখানে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য দেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমটির অন্যতম নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ছিটমহলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্তত ২০১৮ সাল পর্যন্ত উভয় দেশের কোনো ছিটমহলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে (এনজিও) সম্পৃক্ত না করে সরাসরি উদ্যোগে উন্নয়নকাজ পরিচালনারও দাবি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বরাবরে দেওয়া স্মারকলিপিতে। এ ছাড়া উন্নয়নকাজে ছিটমহলের মানুষকে সম্পৃক্ত করারও দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত আজ সোমবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সরকার যখন ছিটমহল বিনিময় চূড়ান্ত করে ফেলেছে ঠিক তখন কিছুদিন আগে থেকে ছিটমহলগুলোতে এনজিওর নামে ব্যবসা করার চেষ্টা চলছে। এখানে যা করবে সরকার করবে, সরকারের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’ দাবি পূরণ না হলে উভয় দেশের ১৬২টি ছিটমহলের বাসিন্দারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ছিটমহল থেকে যেসব মানুষ ভারতবর্ষের মূল ভূ-খণ্ডে আসতে চান, তাঁদের তিনি বাংলাদেশের থানা এবং ভারতীয় যে থানার অন্তর্ভুক্ত উভয় থানারই অনুসন্ধান প্রতিবেদনের (রিফিকেশন) ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিতে হবে। উভয় দেশের কোনো থানায় ফৌজদারি মামলা আছে এমন ব্যক্তিকে কোনো দেশ গ্রহণ করলে তা দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটতে পারে।’
স্মারকলিপিতে আরো দাবি করা হয়, ‘২০১১ সালে অনুষ্ঠিত উভয় দেশের যৌথ জনগণনার ভিত্তিতে সমগ্র পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে।’