গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আলজাজিরার সাংবাদিক নিহত
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সহকর্মী। খবর এএফপির।
এর আগে আলজাজিরা জানিয়েছিল, খান ইউনিস এলাকার একটি স্কুলে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সংবাদভিত্তিক গণমাধ্যমটির ক্যামেরাম্যান সামের আবু দাক্কা ও গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদুহ আঘাত পেয়েছিলেন।
পরে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে আলজাজিরা জানায়, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ওই সাংবাদিকরা আহত হন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামের আহত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার জীবন বাঁচাতে জরুরি চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকর্মীদের কাছে যেতে দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। পরে বাহুতে আঘাত পাওয়া আহত আল-দাহদুহকে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তবে, এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, সামের আবু দাক্কার মৃত্যুতে আলজাজিরার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহামেদ মোয়াওয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেন, ‘সত্য প্রকাশে তার অটল প্রতিশ্রুতি এবং সত্য তুলে ধরায় তার কাজ আমাদের দলের জন্য অমোচনীয় নজির হয়ে থাকবে।’
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইসরায়েলি হামলায় ওই দুই সাংবাদিক আহত হন।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার চিত্র যেন সাংবাদিকরা প্রকাশ করতে না পারে, সে লক্ষ্য সামনে রেখেই তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে।
অন্যদিকে আলজাজিরা বলেছে, তাদের সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করা হচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েল দায়ী।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ নামের সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।