রাজধানী স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছে ইরান
তেহরানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রতিকূল পরিবেশের জন্য রাজধানী স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। নতুন রাজধানী হবে দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর মাকরান। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজারানি এই পরিকল্পনার কথা জানান। খবর তেহরান টাইমসের।
ফাতেমেহ মোহাজারানির উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান টাইমস জানায়, তেহরানের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কারণে বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে রাজধানী স্থানান্তর করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
মুখপাত্র জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দুটি পরিষদ গঠন করেছেন, যারা বর্তমান রাজধানীর সমস্যাগুলো সমাধানের পথ নির্ণয় করবে। পাশাপাশি মাকরান উপকূলের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত ও রাজধানী স্থানান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইরানের উপ-রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ রেজা আরেফ ঘোষণা করেন যে, তাদের সরকার মাকরান ও সমুদ্র-কেন্দ্রিক উন্নয়নের উপর অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত মাকরান অঞ্চলটি ওমান উপসাগরের কাছে অবস্থিত হওয়ায় কৌশলগত সুবিধা প্রদান করে। এই এলাকা দেশটির জন্য অপ্রাপ্ত ধন, যা গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এবং সামুদ্রিককেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। ভবিষ্যতে তেহরানের অর্থনৈতিক বোঝা হ্রাস করে দেশটির বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
মাকরান অঞ্চলের এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি উপকূলরেখা রয়েছে। সেখানে অবস্থিত চাবাহার বন্দরকে ২০০৩ সাল থেকে মুক্ত বাণিজ্য-শিল্প অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যা মধ্য এশিয়াকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোরে পরিণত হয়েছে।