গ্রন্থালোচনা
মেয়েকে নিয়ে লেখা বই ‘জ্যোতি’
বাবা-মেয়ের ভালোবাসার সম্পর্ক চিরসবুজ। এই ভালোবাসার বন্ধন সব সময় রঙিন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মেয়ের বয়স বেড়ে যায় ঠিকই, কিন্তু স্মৃতি সব সময় তাড়া করে বেড়ায়। মেয়ের ছোটবেলায় কাটানো অনেক স্মৃতি বুকে জমিয়ে রেখেছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও লেখক কাজল শরীফ। তাঁর একমাত্র মেয়ে মায়সুনের ছোটবেলায় কাটানো নানা স্মৃতি নিয়ে ‘জ্যোতি’ নামে একটি বই সম্প্রতি তিনি প্রকাশ করেছেন।
বইটিতে লেখক তাঁর মেয়ের শৈশবের অনেক স্মৃতি কাগজ-কলমের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া বইটিতে ছোট্ট মায়সুনের ছোটবেলায় বেশ কিছু ছবিও রয়েছে। বইটিতে স্থান পেয়েছে মোট ১৪টি অধ্যায়। তা হলো ‘নতুনের আগমন’, ‘হামাগুড়ির দিনগুলি’, ‘কেন কাঁকড়ার মাথা নেই’, ‘বাংলাদেশে জ্যোতি’, ‘আবার বাড়ি বদল’, ‘টিকিটিকি টেম্বো’, ‘জ্যোতির প্রথম প্লে-গ্রুপ’, ‘ব্যাঙ কীভাবে বিলঝিলের রাজা হলো’, ‘পাড়ার পার্টি’, ‘কীভাবে টিঙ্গিয়ানরা চাষ করা শিখলো?’, ‘জ্যোতির নতুন প্রি-স্কুল’, ‘হিসাবি জ্যোতি’, ‘লোকু’ ও ‘জ্যোতির কিন্ডারগার্টেন’।
বইটিতে মেয়ের ছোটবেলার মজার ও কিছু স্মরণীয় মুহূর্তসহ মেয়ে কী ধরনের গল্প শুনতে ভালোবাসত, সেটার কথাও লিখেছেন লেখক কাজল শরীফ। যেহেতু পেশাদার কাজে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন তিনি অবস্থান করেছিলেন, তাই তাঁর মেয়ে মায়সুনের বেড়ে ওঠা সেই দেশেই। যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ শহরে মায়সুনের জন্ম হয়। আর সেখানেই তাঁর শৈশবের দিনগুলো কাটে। এ ছাড়া শৈশবে কয়েকবার ঢাকায়ও আসা হয়েছিল মায়সুনের। সেই স্মৃতিও সুন্দরভাবে বইটিতে গুছিয়ে লিখেছেন লেখক।
‘জ্যোতি’ বইটি যেকোনো বাবা-মেয়ের পড়লে ভালো লাগবে। বিশেষ করে প্রবাসী সন্তানদের বইটি অনেক আকৃষ্ট করবে। বইটি পড়লে যে কেউ শৈশবে ফিরে যেতে পারবেন। নিজের বাবাকেও করতে পারেন স্মরণ।
বইটির প্রসঙ্গ কথায় লেখক জানিয়েছেন, তিনি কোনো নিয়ম মেনে বইটি লেখার সিদ্ধান্ত নেননি। ছেলেমেয়ের গল্প বলতে সবাই ভালোবাসে। তিনি সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
৬৪ পৃষ্ঠার রঙিন এই বইটি প্রকাশ করেছে ভোরের শিশির প্রকাশনী। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৬০ টাকা।