‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দরে গ্রহণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। গতকাল সোমবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী।
চিঠিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন এ ‘ওমিক্রন’ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইসরায়েল, বতসোয়ানা, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালিতে থেকে যেসব যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলদেশে আসবে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রাজু বলেন, ‘ভারত থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব যাত্রী মাস্কবিহীন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তাদের মধ্যে ফ্রি মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ সকাল থেকে পুলিশি তত্ত্বাবধানে ইমিগ্রেশনের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি।’
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ুই বলেন, ‘ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাকচালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাকচালকরা যাতে বন্দরের বাইরে বেরুতে না পারে সেজন্য বন্দরের বিভিন্ন বহির্গমন গেটে সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের স্ক্যানিং করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। মেডিকেলের একটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে বন্দর ও ইমিগ্রেশনে। বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশ থেকে আসা নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।