করোনা পরীক্ষার আগেই হাসপাতালে রোগীর ‘আত্মহত্যা’
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সজনী বেগম (৪০) নামের এক রোগী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। আজ বুধবার ভোরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুমের পানির ঝরনার পাইপের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। আজই তাঁর করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
সজনী বেগম কুষ্টিয়ার মাঝপাড়া এলাকার আব্বাস আলীর স্ত্রী বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ আছে। কিছুদিন ধরে তিনি হাকিমপুর ডিগ্রি কলেজ এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘গত ১৮ মে স্থানীয় ডিগ্রি কলেজ এলাকায় এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর পর তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হলে তিনি জানান, হারপিক সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় থেকে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ ভোরে জানতে পারি, তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুমে ঢুকে আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ নিয়ে গেছেন।’
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সূত্র জানায়, ওই রোগীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ লক্ষ করা গেছে। তিনি ঢাকায় থাকতেন। আজ বুধবার তাঁর করোনার নমুনা নেওয়ার কথা ছিল।
হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, সজনী বেগম কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা তদন্ত করা হবে। এর আগেও গত ১৮ মে একবার হারপিক সেবন করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর লাশ দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
এদিকে হাকিমপুরের ইউএনও আবদুর রাফিউল আলম বলেন, ‘গত ১৮ মে সকাল ১১টায় জানতে পারি, একজন মহিলা হাকিমপুর ডিগ্রি কলেজের বারান্দায় শুয়ে আছেন। পরে সেখানে দেখি, মেয়েটি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন এবং তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। এ সময় আমি তাঁকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। আজ শুনলাম গলায় ফাঁস দিয়ে ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন।’