কালভার্টের মুখ বন্ধ, দিনাজপুরে তলিয়ে গেছে আমন ধানের চারা
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর- বাসুদেবপুর গ্রামের প্রায় ৩০০ একর জমির আমন ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার স্থানীয় কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর দাখিল করেছে।
জানা গেছে, একটি কালভার্ট থাকলেও সেটির মুখের দুই দিকে অপরিকল্পিতভাবে পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ময়লার স্তূপ তৈরি করে রাখায় কালভার্টের ভেতর দিয়ে পানি যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই আবাদি জমি প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে জমি থাকা সত্ত্বেও অনেকে আমন ধান আবাদ করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ওই কালভার্টের দুই দিকে তৈরি করা বাড়ির মালিকরা অপরিকল্পিতভাবে ময়লা ফেলে রাখায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ৩০০ একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ২০টিরও বেশি পুকুর প্লাবিত হয়েছে।
ওই গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি গতবার আমন মৌসুমে চার একর জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। ধান পেয়েছি মাত্র ১৬ মণ। অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকায় আমন ধান লাগালেও তা বেশির ভাগ সময় ডুবে থাকে। এতে শুধু একবার না অনেকবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক বাবলু হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, আবুল হোসেন সরকার, নজুর হোসেনসহ আরো অনেকে জানান, তাঁরা তাঁদের বাপ-দাদার আমল থেকে থেকে দেখে আসছেন এই কালভার্ট দিয়ে বর্ষা মৌসুমের সব পানি বের হয়ে যায়। কিন্তু বছর কয়েক আগে এখানে অপরিকল্পিতভাবে নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। দুই দিকে মাটি দিয়ে ভরাট করায় কালভার্ট দিয়ে পানি যাওয়ার রাস্তা সংকোচিত হয়েছে। ফলে এই এলাকায় বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৩০০ একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকছে। এতে আর্থিকভাবে সবাই ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকা বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি, জায়গাটি একবার পরিদর্শন করে কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলাম। তবে শিগগিরই এর একটি স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।’