চীনা করোনাভাইরাস : হিলি চেকপোস্টে নেই কোনো সতর্কতা ব্যবস্থা
চীনে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ। আর এরই মধ্যে এই ভাইরাসে প্রাণ গেছে অন্তত ২৬ জনের। এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা থাকলেও দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনো প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে চীনের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে শত শত পাসপোর্টযাত্রী।
ভারত থেকে দেশে আসা বেশ কয়েকজন পাসপোর্টযাত্রী জানান, চীনে রহস্যজনক একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, এ কথা তাঁরা বিভিন্নভাবে শুনেছেন। যেহেতু চীনের প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটান আছে। অনেক পর্যটক বাংলাদেশি হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে ঘুরতে যাচ্ছে। তাই হিলি চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এখানে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভাইরাসটি যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুজ্জামান জানান, প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে তিন শতাধিক যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আসা-যাওয়া করেন। তাঁদের অনেকে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানেও ঘুরতে যান।
মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ভাইরাস প্রতিরোধে হিলি চেকপোস্ট এলাকায় এখনো পর্যন্ত মেডিকেল টিম স্থাপন করা হয়নি।’
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী বলেন, ‘হিলি চেকপোস্টের গুরুত্ব ভেবে এই আশঙ্কার কথা এরই মধ্যে দিনাজপুর সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দ্রুত ঢাকায় জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে হিলি চেকপোস্টে মেডিকেল টিম গঠন করে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শারীরিক স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করা হবে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ে এ ধরনের কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি। এ জন্য আমরা এখন পর্যন্ত স্বস্তিতে আছি।’
জানা গেছে, করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। এই ভাইরাসজনিত রোগের প্রধান লক্ষণ জ্বর। এর সঙ্গে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। এই ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী রোগ সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে। শ্বাসতন্ত্রের অসুখ হাঁচি-কাশি একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমিত হতে পারে।