চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে করা অভিযোগে বলা হয়েছে—জিআর (খাদ্য সহায়তা) বরাদ্দকৃত ২০ টন চাল কালোবাজারে বিক্রি করে নয় লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। আদালতে অভিযোগটি করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।
গতকাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি দমন আইনে আদালতে এই অভিযোগ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয়েছে একই ইউনিয়ন পরিষদের নয় সদস্যকে।
যদিও চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির অভিযোগটিকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভৈরবের আগানগর ইউনিয়ন পরিষদেন গরিব ও বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে ২০ টন জিআর (খাদ্য সহায়তা) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির চাল বরাদ্দের বিষয়টি সদস্যদের অবগত না করে গত ২৯ ও ৩০ জুন ভৈরব খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে নয় লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগকারী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিয়ম অনুযায়ী জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ নিয়ে ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে বিতরণ করতে হয়। কিন্তু, চেয়ারম্যান আমাদের অগোচরে চাল সরবরাহ নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়ে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ কারণে অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি আদালতে অভিযোগ করেছি। আমার অভিযোগটির বিষয়ে আদালতের বিচারক আগামী সোমবার আদেশ দিবেন বলে জানতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। চাল উত্তোলন করে এলাকায় তা বিতরণ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোয় তাঁর বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থ নেওয়ার কথা ভাবছি।’