দিনাজপুরে চাল আত্মসাতের চেষ্টায় খাদ্য কর্মকর্তা প্রত্যাহার
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) এদিব মাহমুদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় ২০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে গতকাল বিকেলে খানসামা খাদ্যগুদামে চাল আত্মসাত করার চেষ্টার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামকে জানান। এরপর তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। এ সময় ইউএনও খাদ্য গুদাম সিলগালা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
এদিন সন্ধ্যার দিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম ও ইউএনওর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সন্দীপ কুমার দাসকে প্রধান করে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল ইসলাম, খানসামা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফিরোজ মাহমুদ, পাকেরহাট ওসি-এলএসডি সৌমিত্র বসাককে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘণ্টাব্যাপী তদন্ত করে প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটনার সত্যতা পায়। ফলে অভিযুক্ত ওসি-এলএসডি এদিব মাহমুদকে প্রত্যাহার করে পাকেরহাট ওসি-এলএসডি সৌমিত্র বসাককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে ৪০ টাকা কেজি দরে চলমান চাল সংগ্রহ অভিযানে প্রায় ২০ মেট্রিক টন চাল গুদামে সংগ্রহ না করেই বিল উত্তোলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন ওসি-এলএসডি এদিব। যার মূল্য প্রায় সাত লাখ টাকা। পরে ইউএনও ও সাংবাদিকদের তৎপরতায় টাকা আত্মসাতের চেষ্টা বিফলে যায়।
ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গুদাম সিলগালা করা হয়। এর সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে খানসামা ওসি-এলএসডি এদিব মাহমুদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টায় জড়িত থাকায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’