জামালপুরের কামালপুর মুক্ত দিবস আজ
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস ছিল আজ শনিবার। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্ত হয় কামালপুর। কামালপুর মুক্ত দিবসে আজ দুপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
কামালপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ঘেঁষা এলাকা ধানুয়া কামালপুর। যুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী এখানে গড়ে তোলে পাকিস্তানি ঘাঁটি। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে একাত্তরের এই দিনে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর।
ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সূচিত হয় শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ছাড়াও দেশের উত্তর মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলো।
মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ থানায়। আর সীমান্তঘেঁষা এ পারেই ধানুয়া কামালপুরে ছিল হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি। রণকৌশলের দিক থেকে তাই মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ধানুয়া কামালপুর ঘাঁটি দখল করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কামালপুর বিজয়ের লক্ষ্যে একাত্তরের ১১ নভেম্বর পাক সেনাদের শক্তিশালী ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই ঘাঁটির হানাদাররা। ২৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হানাদার বাহিনীর গ্যারিসন কর্মকর্তা আহসান মালিকের নেতৃত্বে ১৬২ জন সৈন্যের একটি দল যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয়। শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর।