নামঞ্জুরের সাড়ে চার ঘণ্টা পর ২২ আসামির জামিন
বড় পুকুরিয়া খনির কয়লা আত্মসাতের মামলায় সাবেক সাত এমডিসহ ২২ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর তাঁদের জামিন দেওয়া হয়।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু তাহের মোহাম্মদ নুরুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক উপমহা ব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহম্মেদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবুল কাশেম প্রধানিয়া, সাবেক ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, সাবেক ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হালদার, সাবেক ব্যবস্থাপক আরিফুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক আব্দুল আজিজসহ মোট ২২ কর্মকর্তা।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২৪৪ কোটি টাকার কয়লা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। গতকাল বুধবার এ মামলায় সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ জন কর্মকর্তা জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন দিনাজপুর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম। এই আদেশের মাত্র সাড়ে ঘণ্টা পর একই আদালতে জামিন পান ওই ২২ কর্মকর্তা।
দিনাজপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, গতকাল রাতে আসামিরা জামিন পেলেও রাতের কারণে ছাড়া পাননি। আজ বৃহস্পতিবার তাদের মুক্ত করা হয়েছে।
দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আমিনুর রহমান এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম।
নথি থেকে জানা গেছে, এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রের পরে মামলাটি বদলি হয়ে বিশেষ জজ আদালতে আসে।