পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘুমন্ত যুবলীগ নেতার ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার গভীর রাতে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড পারভাঙ্গুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কোরবান আলী ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে রেখে আগুন দেওয়া হয়। এতে তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পারভাঙ্গুড়া ওয়ার্ডে মেম্বার পদে বর্তমান ইউপি সদস্য হারুনুর রশীদ ও আবদুর রশিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তফশিল অনুযায়ী আগামী মাসের ৭ তারিখ থেকে নির্বাচনী প্রচারণার কথা থাকলেও মেম্বার প্রার্থীরা প্রতিদিনই মিছিল-মিটিং করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে এই দুই প্রার্থীর সমর্থকরা কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সমাবেশ করেন। রাত ১টা পর্যন্ত এই কর্মকাণ্ড চলে।

এ অবস্থায় কর্মসূচি শেষ করে রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রশিদের সমর্থক ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কোরবান আলী নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে পেট্রোলের গন্ধে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় ঘরের জানালা ও ভেতরে আগুন দেখতে পান। তিনি তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হতে চাইলে বাহির থেকে দরজা আটকানো থাকায় বের হতে পারেনি। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে এবং আগুন নেভায়। আগুনে ঘরের জানালাসহ ভিতরের কিছু জিনিসপত্র পুড়ে যায়। তবে সে সময় আগুনের ধোঁয়ায় কোরবান আলী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

কোরবান আলী অভিযোগ করেন, নির্বাচন ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। থানায় মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে লিখিত অভিযোগ দেব।

তবে প্রতিপক্ষের ইউপি সদস্য এ ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আগুন দেওয়ার ঘটনা সাজানো নাটক। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

অপর প্রার্থী আবদুর রশীদ বলেন, ‘আমার লোকজনকে মিছিল ও সমাবেশে আসতে বাধা দেয় হারুন ও তার লোকজন। তবে এ ঘটনা সম্বন্ধে আমি বিস্তারিত জানি না।’

ঘটনার তদন্তকারী ভাঙ্গুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুরাদ বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’