বাঁশখালীতে নিহত শ্রমিক রাজিউরের লাশ দিনাজপুরে দাফন
বেতন-ভাতার দাবিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় নিহত দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার শ্রমিক রাজিউরের (২২) লাশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শোকাহত পরিবারকে সহানুভূতি জানাতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ফুলবাড়ি উপজেলা শাখার নেতারা।
গত ১৭ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এই গুলির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন রাজিউর রহমান। গত ১৯ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট জামাদানি গ্রামের আব্দুল মান্নান মণ্ডলের ছেলে। তাঁর মরদেহ গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খবর পেয়ে রাতেই ফুলবাড়ির বাম সংগঠনের নেতারা রাজিউরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের ফুলবাড়ি উপজেলা শাখার সম্পাদক সঞ্জিত প্রসাদ জিতু, জাতীয় গণফ্রন্টের ফুলবাড়ি শাখার সমন্বয়ক হিমেল মণ্ডল, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সংগঠক আমিনুল হক, জাতীয় কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির সংগঠক রিপন রায়, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ফুলবাড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতার দাবিতে গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে আন্দোলন শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় শ্রমিকরা। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই পাঁচজন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ রাজিউর রহমানকে তাঁর সহকর্মীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করে। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।