ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল, যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দেশব্যাপী ডাকা হরতাল চলছে। আজ রোববার সকাল থেকেই হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা করে। সেখানে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মোবারক উল্লাহ, শিক্ষাসচিব মাওলানা শামসুল হক, কওমী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা এরশাদ প্রমুখ।
এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে বন্ধ রয়েছে দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও মহাসড়কে ছোট-বড় এবং দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের কমপক্ষে ৪০টি স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে।
এদিকে শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, পুলিশ, এবিপিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে।
এদিকে হেফাজতে ইসলামের দাবি, জেলার বিভিন্ন স্থানে সংর্ঘষে এ পর্যন্ত তাদের আটজন ছাত্র নিহত হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে সংর্ঘষে অন্তত আটজন নিহত হয় বলে দাবি করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান। এ ছাড়া অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয় বলে জানান তিনি।
তবে, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন এবং পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।