মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ১০, বাইকে আগুন
নির্বাচনী সহিংসতায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পৃথক ঘটনায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় সদস্য প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় বিনোদপুরে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ও বিকেলে এ সব হামলার ঘটনা ঘটে।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহত ৬ জন ও তাদের স্বজনেরা জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দীঘা ইউনিয়নের নাগড়া বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী রেজা (টেলিফোন) ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোকন মিয়ার (নৌকা) সমর্থকদের মিছিল অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে ১০-১৫ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলা আলী রেজার সমর্থক বাকি মোল্যা (৫৩), রবিউল ইসলাম ডাবলু (৪৪), মনিরুল ইসলাম মোল্যা (৩৫) ও খন্দকার আলী আসগরসহ (৪০) ছয়জন আহত হন। এদের চারজনকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে (তালা মার্কা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, গতকাল বিকেলে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মিজানুর রহমানের (নৌকা) সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম পিকুলের (ঘোড়া মার্কা) চারজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে রেজাউল ইসলাম ফকির ওরফে রফিকুল (২৮) ও সেলিম মোল্যাকে (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এ সময় রেজাউল ইসলাম ফকির ওরফে রফিকুলের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারের সময় কয়েকজনের ওপর হামলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিনোদপুরের ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মিজানুর রহমান ও দীঘা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোকন মিয়া ওই হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘তাঁদের হেয় করার জন্য এ অভিযোগ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। হামলার ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। ২৮ নভেম্বর মহম্মদপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।