মুন্সীগঞ্জে নির্বাচনি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ পাঁচ, ‘আতঙ্কে’ একজনের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া ককটেল বিস্ফোরণের সময় ‘আতঙ্কে’ এক ব্যক্তি মারা গেছেন। যদিও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সমর্থকরা হামলা, গুলি চালায়। পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
‘আতঙ্কে’ মৃত্যুবরণকারী আব্দুল হক (৪৫) ওই এলাকারই বাসিন্দা এবং মঞ্জিল হকের ছেলে। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এবং দুজনকে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই নৌকার সমর্থক বলে জানা গেছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুল হক ককটেল বিস্ফোরণের সময় আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান সুমন দেব।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরকেওয়ার ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।
এ সময় অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। হামলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক শরীফ, সাইফুল, নাজমুল, বাবু হালদার, মনির ও রমজান গুলিবিদ্ধ হন।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগ গণমাধ্যমকে বলেন, আব্দুল হকের শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজন হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখানে দুজনের চিকিৎসা চলছে।