সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের, আটক ৬
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তাজমুল ইসলাম নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাজমুল ইসলাম (৪০) চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে আফতাব উদ্দিন শাহের ছেলে।
আহতরা হলেন একই গ্রামের আজমদ্দিন (৭০), তাঁর মেয়ে বুলবুলি আকতার (৩৫) ও নাতি সুমন ইসলাম (১৭)।
আটককৃতরা হলেন ময়নুল ইসলাম (৬০), তাঁর ছেলে শাহাজাহান আলী (২৮), শাহিন আলী (২৪), মেয়ে মমতাজ বেগম (২৬), জামাই সেরাজউদ্দিন (৩০) ও স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫০)।
স্থানীয়রা জানায়, দূর্গাপুর এলাকার বৃদ্ধ মো. আজমদ্দিনের সঙ্গে প্রতিবেশী ময়নুল ইসলামের গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার সকালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিবেশী দিনমজুর তাজমুল ইসলাম ঝগড়া থামাতে এগিয়ে এলে ময়নুল ইসলামের পক্ষের লোকজনের শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন। এ সময় স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ময়নুল ইসলামসহ তাঁর পরিবারের ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে ও লাশের সুরতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহত তাজমুলের স্ত্রী উম্মে কুলসুম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অপরাধীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।