দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ভারত থেকে সদ্য ফেরা মিজানুর রহমান (৩০) নামের এক যুবকের শরীরে করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ঈদের দিন তার করোনা পজিটিভ খবর আসে। এদিকে, হঠাৎ করে তাঁর করোনা শনাক্তের খবরে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

মিজানুর রহমান উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম পুরানগড় এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু সাতকানিয়াবাসীকে সচেতন হয়ে জীবন বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনাক্রান্ত মিজানুর রহমান জানান, তাহার ভাগ্নির চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিল মাসে ভারতে যান। চিকিৎসা শেষে আসার সময় ত্রিপুরা রাজ্যে গত ৮ মে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে ফলাফল নেগেটিভ আসে। তার পরের দিন বর্ডার পাশ নিয়ে দেশে আসেন তিনি। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় আবারও করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানেও রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। পরবর্তীতে গত ২৯ রমজানের সময় আবার করোনা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় গতকাল ঈদের দিন রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ।

এ বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফম মাহবুবুল হক সিকদার বলেন, ‘ভারতফেরত মিজানের  করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করি এবং আক্রান্ত মিজানকে সাতকানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার জন্য পাঠিয়ে দেই।’

করোনাক্রান্ত মিজান বলেন, ‘এখন আমি সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছি। আমি করোনার কোনো লক্ষণ অনুভব করছি না। কোনো প্রকার কাশি, জ্বর, হাঁচি, মাথাব্যথা, শরীরে র‌্যাশ উঠা, শারীরিক দুর্বলতা আমার নেই। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। তারপরও কেন আমার করোনা পজিটিভ এলো আমি জানি না।’

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল মজিদ ওসমানী বলেন, ‘ভারতফেরত সাতকানিয়ার একজনের শরীরে করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পেয়ে তাঁকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করি। এখনো পর্যন্ত তাঁর শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ নেই। এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে অবজারভেশনে থাকবেন তিনি। এরপর তাঁর নমুনা পরীক্ষার পর জানা যাবে তিনি আক্রান্ত কি না।’