কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ২৯ জন আহত শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান হিসেবে ২৯ জন শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ এবং আন্দোলন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী, সমন্বয়ক ও শিক্ষকরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়াতে পেরে গর্ববোধ করছি। আগে অনেকেই স্বৈরাচারের দলের হয়ে কাজ করেছেন। এখন একাধিক সমন্বয়ক দল তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের এগিয়ে যাওয়া কঠিন। আমাদের কাছে অনেকেই আসে কথা বলতে। তাদের অতীত ইতিহাস শুনলে বিশ্বাস হয় না। আবার সুযোগ পেলে যে আগের চরিত্রে ফিরে যাবে না, তার কী গ্যারান্টি। নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সব জায়গায় আমরা ঝামেলায় পড়ে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম।

আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন মো. ওমর ফারুক, মো. সাইফুল ইসলাম ও ফরহাদ মিয়া কাউছার। সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মোজাম্মেল হোসেন আবীর ও জিয়া উদ্দিন মুহাম্মদ রুবেল।

অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন হয়েছে তা পৃথিবীতে বিরল। ছাত্ররা আবারও প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে, ভীরুতা সমাধান নয় বরং সাহসিকতার সাথে নির্যাতনের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করাটাই কাম্য।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তাদের আত্মত্যাগ অম্লান থাকবে। আমরা প্রশাসনে আসার পর থেকে আহত ছাত্রদের খোঁজখবর রেখেছি এবং চেষ্টা করেছি কীভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা যায়।

অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, অবিশ্বাস্য ও অভূতপূর্ব ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে এই জেন-জির হাত ধরে। তারাই বুঝিয়ে দিয়েছে সংগ্রামের পথেই মুক্তি। তারাই জাতির সূর্য সন্তান। তোমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। তোমাদের পাশে দাঁড়িয়েছি এটা বলব না, শুধু তোমাদের খোঁজ খবর নিয়েছি।