ছাত্রলীগ নেতাকে আটক, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ
ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটকের জের ধরে আজ রোববার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন লোকজন। বন্ধ হয়ে যায় বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ।
বিকেলে পুলিশ এসে রাবার বুলেট ছুড়ে নেতা-কর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংষর্ষে আহত হয়েছে ১০ জন।
আজ রোববার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে জিয়া নামের এক ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বিষয়টি জানতে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম শাহরিয়ার জিহান আরো দুজন ছাত্রনেতাকে সাথে নিয়ে থানায় যান। থানায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে দ্রুত পুলিশ সুপারের কাছে পাঠায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সোনালী চত্বর এলাকায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ বাধে।
প্রথমে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ পিছু হটে। পরে আরো কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে কালীগঞ্জ ও পাটগ্রাম থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। পুলিশের রাবার বুলেটে ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন প্রধান দাবি করেন, ‘জিহান পুলিশের সাথে অশোভন আচরণ করেছে। তাই তাঁকে আটক করে লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে অশোভন আচরণের দাবি করা হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতার নির্দেশেই জিহানকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধনে তুচ্ছ ঘটনায় জিহানকে আটক করেছে পুলিশ।
জিহানসহ আটক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সন্ধ্যায় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।