সড়কের কোথাও মাথা, কোথাও শরীর
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় বাস-মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। এরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী এবং এদের মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গেড়াখোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। তাঁরা সবাই বাসের যাত্রী।
নিহতরা হলেন সৌদিপ্রবাসী হালিম আকন, তাঁর স্ত্রী আসমা বানু, তাদের ছেলে শিহাব ও সুজন, হালিমের শ্যালক বাদল হাওলাদার এবং মাইক্রোবাসচালক (অজ্ঞাত)। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার খুড়িয়াখালীতে।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলী নূর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সেবা গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসটি গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার দিকে আসছিল। মাইক্রোবাসটি ঢাকা থেকে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথে দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে একটি খাদে পড়ে যায়। নিহতদের শরীর ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায়। তাদের কারো কারো মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে শরীরের বিভিন্ন অংশ পড়ে আছে।
নিহতদের একজনের পকেটে একটি মোবাইল পায় পুলিশ। সেখান থেকে একটি নাম্বারে ফোন দিয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে নিহতদের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে।
সৌদি প্রবাসী হালিম আকন দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে আনতে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিল। ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নিয়ামুল হুদা জানান, মাইক্রোবাসটিতে ছয়জন যাত্রী ছিল। সবাই মারা গেছে। মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এসে নিহতদের লাশ শনাক্ত করেছে।
আহতদের মধ্যে আটজনকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।