আটকের পর কামরুল যা বললেন
শিশু রাজন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলাম সৌদি আরবের জেদ্দায় আটক হয়েছেন। আজ সোমবার আটকের পরই স্থানীয় বাংলাদেশিদের রোষের শিকার হন তিনি। কয়েকজন কামরুলকে মারধরও করেন। এরপর থেকেই ক্রমাগত কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাচ্ছেন কামরুল।
আটকের পর দোষ স্বীকার করে কামরুল এনটিভিকে বলেন, ‘আমার এটা মনেও হয়নি যে সে মারা যাবে। মনে থাকলে কি এমন করতাম? আমাকে শয়তানে পেয়ে গিয়েছিল। নইলে কি এমন করতাম? আমার মা কোথায়, ভাই কোথায়। আমি এখন পর্যন্ত জানি না। আমি এখন পর্যন্ত তাদের একটা ফোনও দিতে পারিনি।’urgentPhoto
এনটিভির প্রতিনিধি কামরুলকে শিশু রাজন হত্যা মামলায় তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে জানালে তিনি আরো জোরে কেঁদে ওঠেন। কামরুল বলেন, ‘জানি না রে ভাই। ফাঁসি হলে কী করব আমি। আমাকে মাফ করে দাও ভাই। মাফ করে দাও ভাই। ওর (রাজনের) মা-বাবার কাছে মাফ চাই। আমি ওকে জীবিত রেখে এসেছি। আমি তাঁকে মারিনি।’ বলে দাবি করেন কামরুল।
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩)। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।
সিলেটে ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক খায়রুল ফজল জানান, গত ১০ জুলাই দুপুর ২টায় কামরুল ইসলাম সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন। কামরুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী। কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশ যান তিনি।