দিনাজপুরে বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু
দিনাজপুরে বন্যার পানিতে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ১৩ জন মারা গেছে বলে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে নিহতের মধ্যে নয়জনের নাম পাওয়া গেছে।
আজ রোববার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেদোয়ানুর রহিম বলেন, সদর উপজেলার বেংকালী গ্রামের মোস্তফার ছেলে রাশেদ, বালুবাড়ীর ডিপিপট্টি এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), বালুবাড়ী ঢাকাইয়াপট্টি এলাকার শফিকুল ইসলাম (৩৮), রাজবাটী এলাকার নাঈম (১৬), বিরল উপজেলার মালঝাড় গ্রামে দিপালী রায় (৩৫) নামে এক গৃহবধূ পানিতে ডুবে মারা যান।
এদিকে, কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার সময় কলার গাছের তৈরি ভেলা উল্টে চার ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো চুমকি (১৩), শহীদ আলী (১০) ও স্মৃতি (৭) ও তাদের চাচাতো ভাই শিহাদ (৭)। প্রথম তিনজনের বাবা আবদুর রহমান।
কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী সরকার বলেন, বাড়িতে পানি ওঠায় ওই চার শিশু কলাগাছের তৈরি ভেলায় করে ঈশ্বর গ্রাম মাদ্রাসার আশ্রয়কেন্দ্রে আসছিল। এ সময় আশ্রয়কেন্দ্রের পাশেই ভেলাটি উল্টে ওই চারজন মারা যায়। তবে ওই ভেলায় আরো কেউ ছিল কি না, তা জানাতে পারেননি ওসি।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান জানান, বিরল, কাহারোল, সদর, খানসামা ও বীরগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের সবার নাম এখনো জানা যায়নি।