সড়ক দেখে ৪ বড় কর্তাকে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য তিনি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার কারণে প্রায় প্রতিদিন দেশের সড়ক-মহাসড়কে ঘুরে বেড়ান এবং সড়কের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কেউ নির্দেশ অমান্য করলে বা ঠিক মতো কাজ না করলে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন।
ব্যস্ততার কারণে কিন্তু নিজ জেলা নোয়াখালীতেই খুব কম আসতে পারেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার বিকেলে ঈদের দিন নোয়াখালীতে এসেই তাঁর আক্কেল গুড়ুম। নির্মাণাধীন নোয়াখালীর চৌমুহনী-ফেনীর চার লেনের সড়ক দেখে চরম হতাশ হন তিনি। সড়কটির প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষে হলেও তা ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। মন্ত্রী কাজের গুণগত মান খারাপের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ বাতিলেরও সিদ্ধান্ত দেন।
সেই সঙ্গে কুমিল্লার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ শিবিব, নোয়াখালী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শাহ নেওয়াজ, নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী নূরনবী তরফদার ও ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এ নির্দেশ ঈদুল ফিতরের কারণে আজ না হয়ে আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে বলে মন্ত্রী জানান। এ ছাড়া আগামী সাতদিনের মধ্যে সড়ক যানবাহনের চলাচলের উপযোগী করতে না পারলে নোয়াখালী ও ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলীকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সড়ক মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতায় এসে নোয়াখালী রাস্তারঘাটের মতো এত বেহাল দশা আর কোথাও দেখি নাই।’ তিনি নিজ জেলায় রাস্তাঘাটের দুরবস্থার জন্য জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া মন্ত্রী আগামী এক বছরের মধ্যে নোয়াখালী ও ফেনীতে দুটি ওভারব্রিজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ ব্যাপারে তিনি শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ঘোষণা দেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে তিনি, মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে সবাই ঈদের দিন তিন ঘণ্টা ছুটি ভোগ করেছেন।