মালিতে নিহত শান্তিরক্ষী আলতাফের দাফন সম্পন্ন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে শান্তি রক্ষা মিশনে দায়িত্বরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আলতাফ হোসেন মণ্ডল (৪০)।
আজ রোববার দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ নম্বর পুনট্রি ইউনিয়নে বিশ্বনাথপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে তৃতীয় জানাজা শেষে আলতাফ হোসেনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে আলতাফের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পর তাঁকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করে শত শত মানুষ। কান্নায় ভেঙে পড়েন আলতাফের স্ত্রী, দুই মেয়ে, মা, ভাইসহ আত্মীয়স্বজনরা।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মালিতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি সেনা নিহত হন। শান্তিরক্ষীর মরদেহ নিয়ে গতকাল শনিবার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল জ্যাঁ-পল ডিকোনিন্ক।
গতকাল আলতাফ হোসেনের মরদেহ প্রথমে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে আলতাফ হোসেনের মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে সৈয়দপুর সেনানিবাসে নেওয়ার পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আজ দিনাজপুরের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয় মরদেহ। স্থানীয় কুতুবডাঙ্গা ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে রাতেই তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মিশন হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই মিশনে এরই মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীসহ বিভিন্ন দেশের সর্বমোট ১৩৩ জন শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছে। বাংলাদেশের দুঃসাহসী শান্তিরক্ষীরা সর্বদা দেশের সম্মানের বিষয়টি মাথায় রেখে ঝুঁকিপূর্ণ এই মিশনে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।