কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় মামলা
জাতীয় শোক দিবসে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল সংঘর্ষে নিহত স্থানীয় যুবলীগকর্মী সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ রোববার এই মামলা করা হয়।
এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে সাজ্জাদ হোসেন সবুজের শটগানের লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে আজ ভোরে সাজ্জাদ হোসেন সবুজের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫৬টি গুলিসহ লাইসেন্স করা একটি শটগান জব্দ করে পুলিশ।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার মোহিনী মিলগেট থেকে জাতীয় শোক দিবসের মিছিল বের হয়। মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে মজমপুর গেটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা। ফেরার সময় হঠাৎ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যে কয়েকটি গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে।
সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত তিনজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুপুর ১টার দিকে অস্ত্রোপচারের টেবিলে মারা যান স্থানীয় যুবলীগকর্মী সবুজ।
এ ঘটনার পর গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুলি চালানোরত এক যুবকের ছবি প্রকাশ হয়। আজ জানা যায়, তিনি পুলিশের বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনিচুর রহমান ওরফে আনিচ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, ওই যুবকের নাম আনিচুর রহমান আনিচ। তিনি পুলিশ সদস্য; কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঢাকা-ঝালুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে ঢাকার কাফরুল থানায় কর্মরত অবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান। এর পর থেকে তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা আনিচ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোমিজের আত্মীয়।