পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার, কমবে দাম
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া এলসি (ঋণপত্র) মূল্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত সরকার। এখন থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে আর কোনো বাধা থাকল না। গতকাল শনিবার ভারতের খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ২০ জানুয়ারি সর্বশেষ পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য প্রতি মেট্রিকটন ৮৫০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৭০০ ডলার নির্ধারণ করে ভারত। শনিবার সেই রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটির সরকার। আজ রোববার থেকে ৩০০ ডলারে এলসি খোলা শুরু করেছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ অংশের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. সেলিম উদ্দীন জানান, এখন থেকে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হবে। তবে ভারতের খুচরা ও পাইকারি মূল্যের ওপর ভিত্তি করেই পেঁয়াজ রপ্তানি ও আমদানি করা হবে। এর ফলে ২০ জানুয়ারি ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া ৭০০ ডলার মূল্যের এই বাধা আর থাকছে না।
ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও মোফাজ্জল হোসেন জানান, আগের রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহারের ফলে খরচসহ এখন থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি হবে ২৮ টাকায়। পাইকারি বিক্রি করা হবে ৩০ টাকায়। সে হিসাবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকা হওয়ার কথা। তবে আরো দুই-তিনদিন পর খুচরা বাজারে এই দামের প্রভাব পড়বে।
ভারতের হিলির রপ্তানিকারক মেসার্স মৌমিতা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হারু পোদ্দার জানান, ভারতের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। আগে সংকট থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিকটনের দর ছিল ৮৫০ ডলার। পরবর্তীতে কমে ৭০০ ডলার করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার আমাদের সরকার নির্ধারিত রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এখন আমরা ব্যবসায়ীরাই বাজার মূল্য দেখে পেঁয়াজ রপ্তানি করব। আজ রোববার নতুন করে কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রতি মেট্রিকটন ৩০০ ডলারে চুক্তি করেছেন। কাল সোমবার থেকে বাংলাদেশে নতুন মূল্যের পেঁয়াজ পাঠানো হবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কার্যালয় সূত্র জানায়, আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের বেঁধে দেওয়া মূল্য তুলে নেওয়ার কোনো কাগজপত্র কার্যালয়ে আসেনি। কাল সোমবার পাওয়া যেতে পারে। আগের মূল্যে পেঁয়াজের চালান ছাড় করা হচ্ছে।