ঈদে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুতের একটি ইউনিট চালু থাকবে
কয়লার অভাবে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলেও ঈদ উপলক্ষে একটি ইউনিট চালু রাখা হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আগামীকাল সোমবার থেকে ইউনিটটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার এসব তথ্য জানান তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাকিম সরকার।
আবদুল হাকিম জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির নতুন ফেসের কয়লা উত্তোলন শুরু হয়নি। তবে, রাস্তা তৈরির জন্য অল্প-অল্প করে পাওয়া কয়লার মজুত দিয়েই কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা হবে। আগামীকাল সোমবার থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু করা হবে। কেন্দ্রটি চালু করতে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রায় ছয় হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। এই কয়লা দিয়ে পাঁচ থেকে ছয়দিন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখা সম্ভব হবে।
এদিকে রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া যায় ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট। প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি লো-ভোল্টেজও দেখা দিচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা লোপাটের ঘটনার পর খনির প্রাঙ্গণ কয়লা শূন্য হয়ে গেলে গত ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবকটি ইউনিট। কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে গত ২৪ জুলাই রাতে পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় খনির সদ্য অপসারিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিবউদ্দীন আহম্মদ, কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানিয়াসহ ১৯ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, মামলার নথি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর আঞ্চলিক শাখা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় বিদ্যুতের কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে।