আটদিন পর বড়পুকুরিয়া তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ
কয়লার অভাবে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একমাত্র সচল ইউনিটটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সচল ইউনিটটি বন্ধ হওয়ায় দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় আবারও দেখা দিয়েছে লোডশেডিং, লো-ভোল্টেজসহ নানা সমস্যা।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাকিম সরকার জানান, কয়লার অভাবে আজ বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে একমাত্র সচল ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধান প্রকৌশলী জানান, আগামী মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির নতুন ফেস থেকে কয়লা উত্তোলনের পর তা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরবরাহ করার কথা রয়েছে। কয়লা সরবরাহ পেলে তিনটি ইউনিটি চালু করা হবে।
ঈদুল আজহায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট ২০ আগস্ট থেকে চালু করা হয়। কয়লার মজুদ শেষ হওয়ার কারণে আটদিন পর ইউনিটটি বন্ধ হলো।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা গায়েবের ঘটনার পর গত ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় দেশের একমাত্র তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তিন ইউনিটের মোট ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে চালু করা হয় ১২৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিটটি। কেন্দ্রটি চালু করতে প্রতিদিন এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ পাওয়া যায় ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির কারণে এই জেলাগুলোতে লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি লো-ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।