এবার সাংসদ মনোরঞ্জন শীলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
অনিয়ম ও দুর্নীতি করা এবং জামায়াতে ইসলামীকে প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ এনে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপালকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বীরগঞ্জ-কাহারোল আওয়ামী লীগ ঐক্য পরিষদ। আজ বুধবার বিকেলে বীরগঞ্জ উপজেলা সদরের বিজয় সরণিতে প্রতিবাদ সভা করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বীরগঞ্জ-কাহারোল আওয়ামী লীগ ঐক্য পরিষদের সভাপতি হামিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া জাকা, সাবেক সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ আব্দুল মালেক সরকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আবু হোসাইন বিপুসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ মনোরঞ্জন শীল গোপালকে বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এর আগে বিশাল একটি বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল বীরগঞ্জ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১১ হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নেয়।
এ সময় দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও সড়ক অবরোধ করলে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন তাঁর নিজ দল আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শম্ভু ও তাঁর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবীর। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।