তফসিল ঘোষণার পর অবিচারের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে : জাহাঙ্গীর
তফসিল ঘোষণার পর থেকে অন্যায়-অবিচারের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দিনাজপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
আজ শনিবার সকালে দিনাজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জাহাঙ্গীর।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিটি মুহূর্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকার পরেও মাদক ও নাশকতার মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এ সময় দিনাজপুর-৪ আসনের প্রার্থী আখতারুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, তফসিল ঘোষণার পরেও দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোকারম হোসেন, বখতিয়ার আহম্মেদ কচি, জাহাঙ্গীর আলম, মোস্তফা কামাল মিলন, যুবদলের সভাপতি মুন্নাফ মুকুল, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদিকা শাহিন সুলতানা বিউটিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে থাকার পরেও অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তথাকথিত নাশকতা, হত্যা ও ইয়াবা সংক্রান্ত মিথ্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর-২ আসনের প্রার্থী সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক বলেন, ‘সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং বিরল ও বোচাগঞ্জ থানার ওসির পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে অবিলম্বে তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানাই। সেই সঙ্গে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মিন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, আকতারুজ্জামান জুয়েল, পৌর কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মজিবর রহমান মজিব প্রমুখ।