ছিনতাইকালে আটক রাবির ছাত্রলীগ নেতা জেলহাজতে
ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক ছাত্রলীগ নেতা জনি আহমেদ ও তাঁর সহযোগী সালমান শরীফ রাজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিহার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবীর এনটিভি অনলাইনকে জানান, সকাল ১০টার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ভবন চত্বরে প্রকাশ্যে ছিনতাইকালে ছাত্রলীগ নেতা জনি ও সালমান শরীফ রাজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় শিক্ষার্থীরা। জনি আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সম্পাদক। সালমান নগরীর রাজপাড়া থানার বুলনপুর এলাকার বাসিন্দা।
এ দিকে এ ঘটনায় আজ শিক্ষার্থীরা জনির ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ মেহেদি হাসান নীল, সায়মা আলম নাজ, সুজন মাহমুদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ফারুক ইমন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনা হয় না বলে ক্যাম্পাসে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই চলছে। ছাত্রলীগ নেতার ছাত্রত্ব বাতিল এবং বিচারের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশের পিটুনির প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িত পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান বক্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে যেসব পুলিশ সদস্য ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।