কার্বারী প্রাচিং ম্রোসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
পর্যটক নিখোঁজের ঘটনায় বান্দরবানের কার্বারী প্রাচিং ম্রোসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের রুমা থেকে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বান্দরবানের সেক্টর কমান্ডার অলিউর রহমান আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনকে জানান, কার্বারী প্রাচিং ম্রো, (নিখোঁজ ট্যুরিস্ট গাইড মাংসাই ম্রোর বড়ভাই), বড়তলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অনচন্দ্র ত্রিপুরা, স্থানীয় বাসিন্দা মেনচং ম্রো ও জয়পাল বড়ুয়াকে যৌথবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এ ছাড়া পর্যটকদের খোঁজে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফের কাছে যে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল, বাহিনীটি এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা অলিউর রহমান।
পর্যটকদের খোঁজে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের যৌথবাহিনীর সাতটি টহল দল দুর্গম অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ১১দিনেও নিখোঁজ পর্যটকদের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তাঁদের পরিবারে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ‘বিভ্রান্তিকর সব তথ্যে’ শঙ্কা তৈরি হয়েছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
নিখোঁজ পর্যটক জাকির হোসেন মুন্নার স্ত্রী ফাতেমাতোজ জোহরা আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার স্বামীর এখনো কোনো খোঁজ পাইনি। কোনো সূত্র থেকেই নির্ভরযোগ্য কোনো খবর পাচ্ছি না। আমার ছোট্ট দুটি মেয়ে আছে, তারাও তাদের বাবাকে দেখতে চায়।’
নিখোঁজ পর্যটক আব্দুল্লাহ আল জোবায়েরের বাবা আব্দুর রব খান বলেন, ‘আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাইনি। আমি যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন।’
গত ৪ অক্টোবর দুপুরে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়তলী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সিদ্ধুপাড়া থেকে অস্ত্রের মুখে পর্যটক জাকির হোসেন মুন্না (৩০), আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের (৩২) ও স্থানীয় গাইড মাংসাই ম্রোকে (২৮) তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।