বিদেশি খুনে আইএসের যোগ নেই : বিজিবি মহাপরিচালক
দুই বিদেশি খুনের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ সময় তিনি আরো বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার দুটি রিভিউকে সামনে রেখে এ দেশের সন্ত্রাসীরাই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আজ রোববার চুয়াডাঙ্গায় ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্বোধন উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন করেন বিজিবির মহাপরিচালক। পরে বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
দুই বিদেশি হত্যার ব্যাপারে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘যে সোর্সগুলো থেকে আইএস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বা বাইরে থেকে প্রচার করা হয়, আমাদের বিভিন্ন সংস্থা সেগুলোর গোড়ায় গিয়েছে এবং দেখেছে যে, সেগুলো হয়তো কোনোটা চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আপলোড করে বাইরের রাম দেওয়া হয়েছে।’
‘আমরা যারা সীমান্তে বা দেশের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করি, তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে যে, এগুলোর সঙ্গে আইএসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত যে, দুজন বিদেশি হত্যার সঙ্গে আইএসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলার রিভিউয়ের কথা উল্লেখ করে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় আপিল বিভাগে ফাঁসির রায় বহাল রয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) সেগুলোর রিভিউয়ের তারিখ রয়েছে। আমি মনে করি, এটাকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।’
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক আরো জানান, আজ থেকে বিজিবিতে নারী সদস্য নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনকে নিয়োগ নেওয়া হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেখা হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। তাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার ব্যাপারটিও দেখা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে বাহিনীতে নারী সদস্যসংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
বিজিবি এ বছর নতুন চারটি রিজিওন (অঞ্চল), চারটি সেক্টর ও ১১টি ইউনিট চালু করতে যাচ্ছে বলেও জানান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি আরো জানান, নবগঠিত ৫৮ বিজিবি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে শুরু করে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ৬-এর পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যশোর রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরিদ উদ্দিন, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল হা. মং, জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা সিভিল সার্জন আজিজুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।