বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলায় সাবেক এক এমডিসহ তিন কর্মকর্তা কারাগারে
দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় সাবেক এক এমডিসহ তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদেশে সাবেক ছয় এমডিসহ ২০ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
দিনাজপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান জানান, আজ দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহাম্মদ ভুইয়ার আদালতে বড়পুকুরিয়ার কয়লাখনির সাবেক সাত এমডিসহ ২৩ আসামি জামিনের আবেদন জানালে বিচারক এ আদেশ দেন।
তিন কর্মকর্তা হলেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহম্মাদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর) এ কে এম খাদেমুল ইসলাম। দুদকের মামলার পর এই তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, অভিযোগপত্র দাখিলের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ দুপুরে ওই ২৩ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে ওই তিন কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে গত ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিকটন কয়লা চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ২৪ জুলাই জেলার পার্বতীপুর থানায় এ মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় তা দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন-সাবেক সাত এমডি মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
এ ছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদা, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলীকেও এ মামলায় আসামি করা হয়।