নারীর নগ্ন ভিডিও ছড়ালেন ইউপি সদস্য!
ঝিনাইদহে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্র এক নারীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করেছেন। এক ঘণ্টার সেই ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ঘটনার পর থেকে সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাদিউজ্জামান সাজু পলাতক। শাস্তি হিসেবে পরিষদের সব কর্মকাণ্ড থেকে তাঁকে বিরত রাখা হয়েছে।
এক মাস আগে ওই ঘটনা ঘটলেও গতকাল সোমবার সদর উপজেলার ডাকবাংলা, দশমাইল ও সাধুহাটী এলাকার যুব সমাজের মোবাইলে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাধুহাটী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ইউপি সদস্য হাদিউজ্জামান সাজুর বাড়ি ইউনিয়নের পোতাহাটি গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি একই গ্রামের এক গৃহবধূকে (৩২) ভিজিডির কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে মুঠোফোনে ওই গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ করেন সাজু। সেই ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক করেন। একপর্যায়ে ওই নারীর দরিদ্র স্বামী ঘটনা টের পেলে তিনি স্ত্রীকে সাজুর কাছে যেতে বারণ করেন। এরপর সাজু ডাকবাংলা বাজারের একটি কম্পিউটারের দোকানে মুঠোফোন নিয়ে ওই ভিডিও ফুটেজ অন্য একটি মাধ্যমে নেন। ওই কম্পিউটার থেকে ভিডিও ফুটেজ এলাকার অন্যান্য মুঠোফোন ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নারী স্থানীয় ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দেন। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে ইউনিয়ন পরিষদের সব কর্মকাণ্ড থেকে সাজুকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছিয়া খাতুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে জনরোষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ইউপি সদস্য হাদিউজ্জামান সাজু।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা বদিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এনটিভি অনলাইনকে জানান, প্রতারিত নারীর স্বামীকে থানায় মামলা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কেউ থানায় মামলা করেননি।
যোগাযোগ করা হলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনিনি। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক ইউপি সদস্য সাজু মেম্বর সব শেষ ওই নারীকে বিয়ে করেছেন মর্মে খবর ছড়িয়েছে। ওই গৃহবধূও গ্রামে নেই।