ছুটির দিনেও আন্দোলন অব্যাহত, আতঙ্ক কাটছে না
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের ১২দিন পরও ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার ছুটির দিনেও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ‘মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চ’ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে মিছিল বের করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
অন্যদিকে আগামী শনিবার থেকে রাবিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করছে শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস তাই অনেকটাই ফাঁকা। রাতের বেলা ভয়ে কেউ একা বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন আরোহী দেখলেই ভয় পাচ্ছে বলে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী জানায়।
রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও রেজাউলের করিমের সহকর্মী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এখনো আতঙ্কে আছেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই আতঙ্ক কাটবে না।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক বলেন, ‘এরইমধ্যে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ছুটিতে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।’
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই মৌলবাদী গোষ্ঠী একের পর এক শিক্ষক হত্যা করে চলেছে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় বাসা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।