তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে শঙ্কায় রাবি শিক্ষক সমিতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে শঙ্কায় আছেন বলে জানিয়েছেন রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শহীদুল্লাহ।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাবির সিনেট ভবনের সামনে অধ্যাপক রেজাউল হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে মো. শহীদুল্লাহ এ আশঙ্কার কথা জানান।
ওই হত্যাকাণ্ডের ১৯তম দিনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে রাবি শিক্ষক সমিতি।
মানববন্ধনে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিষয়ে আমাদের জানানো হচ্ছে না। তেমন কোনো অগ্রগতিও বুঝতে পারছি না। এই হত্যাকাণ্ডের আদৌ কোনো অগ্রগতি হচ্ছে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কায় আছি।’
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনু বলেন, ‘যদি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধ করা না যায়, তাহলে দেশে উন্নতির ক্ষেত্রে অন্ধকার ছায়া নেমে আসবে। অশুভ শক্তিগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’
জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন, ‘শুধু এ হত্যাকাণ্ডের বিচার নয়, এ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সব হত্যাকাণ্ড চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই, সরকার এদিকে দৃষ্টি দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার করুক।’
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুবাইদা আখতার, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে একটি মৌন মিছিল বের করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে ‘মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চ’তে (অধ্যাপক রেজাউলের ডাক নাম মুকুল) গিয়ে সমাবেশ করে।
গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর পর থেকে বিচার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।