সেই রুটি ও মিষ্টি আলু এখন থানায়
ময়মনসিংহের ত্রিশালে রুটি ও মিষ্টি আলু খেয়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় খাদ্যদ্রব্যগুলো জব্দ করেছে পুলিশ।
মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ত্রিশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুজ্জামান আজ শুক্রবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালের নাশতায় যে খাবার খেয়ে চারজন মারা গেছেন, তাতে বিষ ছিল বলে সন্দেহ করছি। সেই আটা, রুটি, ও মিষ্টি আলু জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য রোববার মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনে (বিএসটিআই) পাঠানো হবে। যথাযথ পরীক্ষার পর প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক হানিফ মোহাম্মদ জানিয়েছিলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তাঁদের মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে আমলি আদালতের জিআরও উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান, গতকাল আটক করা মুদি দোকানি সাইফুলকে আজ কোর্টে চালান করেছে ত্রিশাল থানার পুলিশ। ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সাদবীর আহমেদ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল কালাম স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন। পাঁচদিন আগে তিনি ত্রিশালে বাড়িতে এলে একই এলাকার সাইফুল ইসলামের মুদি দোকান থেকে আটা কিনে আনেন। এরপর গত মঙ্গলবার তিনি ও তাঁর স্ত্রী ঢাকায় চলে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেই আটা দিয়ে তৈরি রুটি খাওয়ার পর বাড়িতে আসা আত্মীয়সহ পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় আটজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে আবুল কালামের মেয়ে নাজমা (২০) ও তাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয় খলিল মিয়ার মেয়ে দিলরুবা (১০) ও বীথি (৮) মারা যায়। বিকেল ৪টার দিকে মারা যান আবুল কালামের শাশুড়ি হাজেরা বেগম (৫০)।
হাসপাতালে ভর্তি বাকিরা হলেন আবুল কালামের মেয়ে আসমা (২২) ও সালমা (১০), ছেলের বউ রুমা (২২) ও আবুল কালামের বড় বোন আম্বিয়া (৫০)।