খুলনায় হাত-পায়ের রগ কেটে সাবেক ছাত্রলীগকর্মীকে হত্যা
খুলনা শহরে দুর্বৃত্তদের হামলায় মহানগর ছাত্রলীগের এক সাবেক কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পিটিআই মোড়ে সৈকত হাসান রোহান (২৫) নামের ওই সাবেক ছাত্রলীগকর্মীর হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
খুলনা থানার ওসি (তদন্ত) খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহত সাবেক ছাত্রলীগকর্মী সৈকত হাসান রোহান সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুর্বৃত্তরা তাঁর দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। তিনি ১০টির বেশি মামলার আসামি।
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন সৈকত রোহান। ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক এ জেড এ মাহমুদের ওপর হামলাসহ একাধিক মালার আসামি তিনি।
সম্প্রতি খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জানান, কারাগারের মধ্যে খাবার ও গরুর দুধ কেনাবেচা নিয়ে সৈকত রোহানের সঙ্গে জেল সুপারের কয়েক দফা বিরোধ হয়। পরে কে বা কারা জেল সুপারের বাসভবন এবং তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এসব ঘটনায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী দাবি করেন, রোহান ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করেন। কারাগারে যাওয়ার কিছুদিন আগেও তিনি এ জেড এ মাহমুদের বাড়ি হামলা ও ভাংচুর চালান। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনুমতিতে খুলনা থানায় মামলা হয়। এ মামলায় রোহানকে আটক করে জেলহাজতে নেয় পুলিশ। মাত্র ১৫ দিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেন তিনি।
পুলিশের মতে, বুধবার রাতে প্রতিপক্ষরাই রোহানের হাত ও পায়ের সব রগ কেটে ফেলে রেখে যায়।
ঘটনার পর প্রথমে রোহানকে খুলনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে নেওয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ওসি (তদন্ত) খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বুধবার রাত ১২টার দিকে সৈকত রোহানের মৃত্যু হয়।