বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যার আসামিরা
আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যার বিচারের দাবিতে মাঠে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেছেন, মামলার আসামিরা নানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন।
আজও এ মামলার প্রধান আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন নামঞ্জুর করেছেন টাঙ্গাইলের একটি আদালত।
সকালে টাঙ্গাইলের প্রথম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিন নামঞ্জুর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ও বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অস্ত্র আটককে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত নেতাদের জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যই এ সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ছাড়াও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি, জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি প্রমুখ।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে তাঁর বাসার সামনে ফেলে রাখে। এ ব্যাপারে ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইয়ের নাম উঠে আসে। পুলিশ তদন্ত শেষে এমপি রানা ও তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। পরের দিন টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে তাঁকে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।